🔘🔘🔘 সমাজবিজ্ঞান সাব্জেক্ট রিভিউ 🔘🔘🔘
বাংলাদেশ তথা বিশ্বঅঙ্গনে অন্যতম underrated ও less saturated সাব্জেক্টের নাম সমাজবিজ্ঞান। তাই আমাদের অনেকের মধ্যে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে তেমন ধারণা নেই এবং রয়েছে কিছু ভুলধারণা। তাই আজ সমাজবিজ্ঞান নিয়ে একটা ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি সমাজবিজ্ঞান কিছু misconception এবং myth bust করবো।
💠 সমাজবিজ্ঞান কী? 💠
সমাজবিজ্ঞান নিয়ে নানা সমাজবিজ্ঞানী নানা সংজ্ঞা দিলেও সহজ ও সাবলীল একটা সংজ্ঞা হলো, সমাজবিজ্ঞান হল সামাজিক জীবন, গোষ্ঠী এবং সমাজে মানুষের বিশ্লেষণের একটি বৈজ্ঞানিক অধ্যয়ন। যার ইংরেজি দাঁড়ায়, Sociology is a scientific study of analysing human in social life, group and society. সমাজবিজ্ঞান বা Sociology বৃহৎ অর্থে সমাজের সকল বিষয়ের উপর আলোকপাত করে থাকে । এর মধ্যে অন্যতম অর্থনীতি , রাষ্ট্রবিজ্ঞান , লোক প্রশাসন , মনোবিজ্ঞান, অপরাধবিজ্ঞান, শান্তি ও সংঘর্ষ ইত্যাদি । সমাজবিজ্ঞান কে ‘ মাদার অফ সোশ্যাল সাইন্সেস ‘ বলা হয় । সমাজবিজ্ঞান কী? এই প্রশ্নের খুব সহজ উত্তর হলো সমাজের বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনা ।
💠 সমাজবিজ্ঞানে কী-কী পড়ানো হয়? 💠
আমাদের ৮ সেমিস্টারে BSS শেষ হয়। প্রতিটা সেমিস্টার এর চারটি করে কোর্স থাকে (শুধুমাত্র ৮ম সেমিস্টারে ৩টি কোর্স থাকে)। স্টুডেন্টরা নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী কোর্স করার সুযোগ দেয়া হয় না বরং ফ্যাকাল্টি থেকে সিলেক্ট করে দেওয়া হয়। আমাদের কোর্সগুলো হলো:
🔹1st Semester
SOC 101: Introduction to Sociology *
SOC 102: The Emergence of Bangladesh*
SOC 103: Social Psychology or SOC 104: Social Problems and Issues
SOC 105: Introduction to Cultural Anthropology or SOC 106: Sociology of Marriage and Family
🔹 2nd Semester
SOC 151: Introduction to Sociology II*
SOC 152: Gender, Society and Development or SOC 153: Sociology of Environment
SOC 154: Sociology of Education or SOC 155: Rural Sociology
SOC 156: Social History or SOC 157: Sociology of Religion
🔹 3rd Semester
SOC 201: Introduction to Social Statistics I*
SOC 202: Social Inequality or SOC 203: Economy and Society
SOC 204: Crime and Society or SOC 205: Sociology of Organization
SOC 206: Globalization, Culture and Society or SOC: 207 Ancient and Medieval Political Thought
🔹4th Semester
SOC 251: Introduction to Social Statistics II*
SOC 252: Urban Sociology or SOC 253: Risk and Communication
SOC 254: Class Structure of Bangladesh Society or SOC 255: Society, Information and Technology
SOC 256: Sociology of Disability or SOC 257: Sociology of Built Environment
🔹5th Semester SOC 301: Classical Sociological Theories*
SOC 302: Health and Society or SOC 303: Population and Society
SOC 304: Industrial Sociology or SOC 305: Beliefs and Rituals
SOC 306: Social Forestry or SOC 307: Protest and Social Movement
🔹6th Semester
SOC 351: Research Methodology*
SOC 352: Sociology of Migration and Diaspora or SOC 353: Sociology of Minority
SOC 354: Urban Governance and Planning or SOC 355: Sociology of DisasterDisaster
SOC 356: Peasant Society or SOC 357: Water, Politics and Development
🔹7th Semester
SOC 401: Contemporary Sociological Theories*
SOC 402: Sociology of Poverty or SOC 403: Culture, Society and HIV/AIDS SOC
404: Political Sociology or SOC 405: Social Policy SOC 406: Sociology of Sustainable Development or SOC 407: Colonialism, Imperialism and Nationalism
🔹 8th Semester SOC 451: Understanding Social Change in Bangladesh*
SOC 452: Gender, Violence and Development or SOC 453: State, Civil Society and Citizenship
SOC 454: Research Design & Monograph Writing* SOC 455: Comprehensive & Viva
(এখানে যেইসব কোর্সের পাশে * রয়েছে, সেই কোর্সগুলো মাস্ট পড়ানো হবে)
কোর্সের কোর্সের টাইটেল দেখে বুঝতে পারছ আমাদের সমাজ বিজ্ঞানের পোস্টগুলো দেশ যুগোপযোগী ও ডাইনামিক।
💠 কেনো সমাজবিজ্ঞান পড়বো? 💠
বিষয়।
শুধু বাংলাদেশেই নয় পশ্চিমাবিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে নিত্য-নতুন গবেষণা হচ্ছে। সামাজিক যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য সবাই সমাজবিজ্ঞানীদের পরামর্শ নিচ্ছে। বাংলাদেশের কোনো সামাজিক সমস্যা বা অরাজকতার ব্যাখা বা বিশ্লেষণ চেয়ে নিউজ চ্যানেলে বিভিন্ন রিপোর্ট, খবরের কাগজে যখন আর্টিকেল লেখা হয়, তখন প্রায়শই সমাজবিজ্ঞানীর এই বিষয়ে মত চাওয়া হয়। তোমরা যদি বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলের শুয়োর দর্শক হয়ে থাকো, তাহলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়ে দেখবে এই টকশোতে অংশ গ্রহণকারী সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সম্মানিত লেকচারার, সহকারি অধ্যাপক কিংবা অধ্যাপক। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৪৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ভর্তি করানো হচ্ছে। এই ৪৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান পড়ানো হয়। এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর অনেক নতুন শিক্ষক যোগদান করেণ, যারা সমাজবিজ্ঞান থেকে ভালো ফলাফল করে বের হচ্ছেন বা হবেন তাদের জন্য নিজের বা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার অনেক বড় সুযোগ থেকে যাচ্ছে। যে সব শিক্ষার্থী মনে করেণ যারা সমাজবিজ্ঞানে পড়ালেখা করেণ তারা পরবর্তিতে ব্যাংকার হতে পারেন না, তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে প্রতিবছর শতশত সমাজবিজ্ঞান পড়ুয়া শিক্ষার্থী বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সোনালী, রুপালী, অগ্রণী, বেসিক ব্যাংকসহ সুনামধন্য সকল সরকারী বা বেসরকারী ব্যাংকে যোগদান করছেন।
সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি দিনকে দিন সামাজিক সমস্যা যেমন: ধর্ষণ, খুন, রাহাজানি, বেকারত্ব, মাদকাসক্ত, বিবাহবিচ্ছেদ, কিশোরঅপরাধ, চুরি, ছিনতাই, শিশু-কিশোর, যুবক ও বয়স্ক স্বাস্থ্য সমস্যা বেড়েই চলছে, সামাজিক এই সকল সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় তার জন্য সবচেয়ে বেশি সামাজিক গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা, আর সরকার এসব ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেই যাচ্ছে, ইচ্ছে করলেই সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এই সকল গবেষণায় যুক্ত হতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সমাজবিজ্ঞানের কোর্স কারিকুলামে গবেষণার উপর অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়, যে কারণে সমাজবিজ্ঞান থেকে পাশ করে অনেক শিক্ষার্থী গবেষণা প্রতিষ্ঠানে তাদের কর্মজীবন সহজেই প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। বাংলাদেশে যেসব আন্তর্জাতিক ও দেশীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আইসিডিডিআরবি, ব্র্যাক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউটঅব সোশ্যালরিসার্চ, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্টরিসার্চ সেন্টার।সমাজবিজ্ঞান থেকে পাশ করে প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী বিসিএস শিক্ষা ও অন্য ক্যাডারে যোগদান করছেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ২৫০০ অধিক বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা রয়েছে যাদের অধিকাংশ কর্মকর্তাই সমাজবিজ্ঞানের সাবেক শিক্ষার্থী। অর্থাৎ যে সকল শিক্ষার্থী সমাজবিজ্ঞান থেকে পাশ করে সরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা ভাগ্য বিড়ম্বনার কারণে কোথায়ও যোগদান করতে কঠিন হবে তারা সহজেই এই সকল উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে পারবেন। এই সকল উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন, গ্রামীণব্যাংক, টিএমএসএস, কোষ্ট বাংলাদেশের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ভালো ফলাফল থাকার পরও অনেকে হতে পারেন না, তাদের মধ্যে অনেকেই ইচ্ছা করলে দেশের বাইরে স্কলারশিপ নিয়ে সমাজবিজ্ঞানের উপর উচ্চতর ডিগ্রী করতে পারেন, কেননা বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র, সমাজবিজ্ঞান পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য স্কলারশিপ দিচ্ছে এসব রাষ্ট্রের মধ্যে কানাডা, চীন, সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান অন্যতম।
সমাজবিজ্ঞান থেকে পড়ালেখা শেষ করে বেসরকারি এমপিওভুক্ত কলেজে কিংবা উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষাকতা করতে পারেন।সমাজবিজ্ঞানে পড়ে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছেন তাদের মধ্যে ইতি মধ্যেই অনেকে বাংলাদেশের নামকরা বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন অনেকে এখনও করছেন। কিছুদিন পূর্বেও বাংলাদেশের নামকরা ৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন সমাজবিজ্ঞানের সাবেকশিক্ষার্থী। সেই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর, বেগম রোকেয়া এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।
সমাজবিজ্ঞান পড়লে যে দক্ষ উপাচার্য এবং প্রশাসক হওয়াযায় এই সকল মাননীয় উপাচার্যবৃন্দ তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সমাজবিজ্ঞানে শুধু সমাজবিজ্ঞানই পড়ানো হয়না এখানে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজ মনোবিজ্ঞান, অর্থনীতি, নৃবিজ্ঞান, চিকিৎসা সমাজবিজ্ঞান, অপরাধ বিজ্ঞানসহ প্রায় ৪০টির মত আধুনিক ও উচ্চমানসম্পন্ন বিষয় পড়ানো হয়, যে সকল বিষয় পড়লে একজন শিক্ষার্থী সামাজিক যাবতীয় বিষয় সর্ম্পকে সহজেই ধারণা লাভ করতে পারেন। বাংলাদেশের প্রায় ১৭টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজজ্ঞিান পড়ানো হচ্ছে, পড়ালেখা শেষ করে অনেকেই এই সব বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করতে পারেন, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিএবং দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
আচার-আচরণ, মূল্যবোধ, সামাজিক স্তরবিন্যাস, সমাজকাঠামো এবং সঠিক সামাজিকীকরণ জানতে হলে সমাজবিজ্ঞান পাঠের ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। সর্বোপরি উদার ও ভালো মনের প্রকৃত মানুষ হতে চাইলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ায় হবে শিক্ষার্থীদের অন্যতম ভালো সিদ্ধান্ত।
আমাদের সপ্তাহে মাত্র ৮টি ক্লাস থাকে যার প্রতিটার দৈর্ঘ্য প্রায় ১ ঘন্টা করে থাকে। তোমরা কলেজেও মনে হয় ২-৩ দিনে এই পরিমাণ ক্লাস করতে। তাই বুঝতে পারছো বেশ ফ্রি টাইম পাবে। তোমাদের জন্য ডিপার্টমেন্টে রয়েছে সেমিনার লাইব্রেরী, কম্পিউটার রুম, ড. নাজমুল করিম সংগ্রহশালা ইত্যাদি।
💠 সমাজবিজ্ঞান কেনো পড়া উচিত না 💠
বিশ্ববিদ্যালয় কিছু সাবজেক্ট থাকে যেগুলোতে তেমন একটা পড়াশোনা না করে পরীক্ষায় মোটামুটি ভালো নম্বর তোলা যায়, সমাজবিজ্ঞান কেমন সাবজেক্ট না। সমাজবিজ্ঞানে ভালো করতে গেলে তোমাকে প্রতিনিয়তঃ ক্লাস করতে হবে, পড়াশোনার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে হবে, শুধুমাত্র একটি বইয়ের সাহায্যে কখনো একটি কোর্সের পড়া কমপ্লিট করতে পারবেনা। তার জন্য তোমাকে করতে হবে একাধিক বই, যেগুলো তুমি আমাদের ডিপার্টমেন্টের সেমিনার লাইব্রেরি, সেন্ট্রাল লাইব্রেরী থেকে বিনামূল্যে পড়তে পারবে, অনলাইনে পিডিএফ থাকলে সেখান থেকে বিনামূল্যে পড়তে পারবে কিংবা নীলক্ষেতে সেই বই থাকলে সেখান থেকে ক্রয় করে পড়তে পারবে। বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন রিপোর্ট পড়তে হবে, জার্নাল পড়তে হবে, অনলাইনে আর্টিকেল পড়তে হবে ভিডিও কিংবা ডকুমেন্ট্রি দেখতে হবে ইত্যাদি। Sociological Theoryগুলো ভালোমতো বুঝে রপ্ত করতে হবে যেন এগুলোকে সমাজের সাথে রিলেট করতে পারো।
এমন এফোর্ট না দিলে এবং পরীক্ষার খাতায় ভালো ভাবে উপস্থাপন না করে আসতে পারলে সিজিপিএ খারাপ উঠবে। এজন্য সোসিওলোজিতে পড়ে ঢিলেমি করে চলবে, এমন সিদ্ধান্ত নিলে পরে পস্তাবে।
এবার সমাজবিজ্ঞান নিয়ে কিছু মিথ বাস্ট ও কনফিউশন ক্লিয়ার করি। Sociology আর Social Sciences এক না। Sociology হলো সমাজবিজ্ঞান। আর Social Sciences হলো সামাজিক বিজ্ঞান। এই সামাজিক বিজ্ঞানের অংশ - সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, লোক প্রশাসন অপরাধবিজ্ঞান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ইত্যাদি। তাই এদুটো কেউ গুলিয়ে ফেলো না। আর আমাদের বিল্ডিং-এর নাম, সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদ বিল্ডিং, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ বিল্ডিং না।
অনেকে মনে করে সমাজবিজ্ঞান নাস্তিকদের সাবজেক্ট কিংবা এই সাবজেক্ট করলে নাস্তিক হয়ে যেতে হয়। ব্যাপারটা তেমন না। সমাজবিজ্ঞান ধর্ম নিয়ে আলোচনা করলেও সমাজবিজ্ঞানের কাজ এটা নয় যে ধর্মকে পরীক্ষা করা কিংবা সিদ্ধান্ত দেওয়া সঠিক কি না কিংবা স্রষ্টা বা আল্লাহ'র আছে কিনা। সমাজবিজ্ঞান বিভিন্ন Social Institution এবং Social Phenomena নিয়ে আলোচনা করে। Religion যেহুতু এর মধ্যে পড়ে এবং সমাজ ও সমাজে অবস্থানরত ব্যক্তি Religiousদ্বারা প্রভাবিত হয়, তাই সমাজবিজ্ঞান ধর্ম নিয়ে আলোচনা করে।
সমাজবিজ্ঞানের রিভিউ এই পর্যন্তই যথেষ্ট বলে আমার মনে হয়। এরপরও কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাকে পোস্টের কমেন্টে কিংবা ইনবক্সে করতে পারো।
তোমাদের অনেক-অনেক অভিনন্দন এবং সমাজবিজ্ঞান নিলে ইনশাআল্লাহ ডিপার্টমেন্টে দেখা হয়ে যাবে! 🤎
-
আবিদ শাহরিয়ার
২০২০-২১ সেশন
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।