Subject Review: ESOL
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি আর ডি ইউনিটের সাবজেক্ট চয়েসের ফর্ম পূরন করার সময় অনেকেই ESOL – English for Speakers of Other Languages নামটা দেখে কৌতুহলি হয়ে ওঠে! অবশ্য হওয়ারই কথা! কারণ এই সাবজেক্ট চয়েসের উপরই অনেক কিছু নির্ভর করে। ESOL সাবজেক্টটা নতুন হওয়ায় বেশিরভাগ লোকই এর সম্পর্কে জানে না! তাই ESOL এর একজন শিক্ষার্থী হিসাবে ESOL এর ভালো-মন্দ উভয়দিক নিয়ে জানাতেই এই সাবজেক্টের রিভিউ লেখা।
১. ESOL কি?
ESOL হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ বছর মেয়াদী একটি অনার্স প্রোগ্রাম। ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এর অধীনে ২০১৫-১৬ সেশনে ESOL খোলা হয়। এর ক্লাস হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটে। ESOL হচ্ছে English Language বেজড একটি বিষয়। এটাতে English Language, Linguistic এবং English Language Teaching এর দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সাবজেক্টের নাম English Language। আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অনেক আগে থেকেই English Language / ESL / TESOL এই ধরনের বিভিন্ন নামে এই সাবজেক্ট চালু আছে। তবে ইউরোপ, আমেরিকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক আগে থেকেই এই সাবজেক্ট আছে। উপরের নাম গুলো দিয়ে Google এ সার্চ করলেই সেটা বুঝতে পারবেন।
২. ESOL এ কী পড়ানো হয়?
আগেই বলেছি এটি English Language ভিত্তিক একটি সাবজেক্ট। তাই এখানে English Language রিলেটেড সবকিছুই পড়ানো হয়। তাই বলে যে Literature পড়ানো হয় না, ব্যাপারটা কিন্তু তা না! Literature ও পড়ানো হয়, কিন্তু তুলনামুলক কম ক্রেডিটের(১২/১৬)। ESOL মূলত English এর Applied দিক গুলোতে বেশি জোর দেয়। ESOL এর উদ্দেশ্যই হচ্ছে ইংরেজি শিক্ষক বানানো। তাই সেভাবেই পড়ানো হয় এখানে। এছাড়া ইসোলে Reading, Writing, Listening, Speaking এর কিছু কোর্স আছে। এগুলো যারা অনার্স করে বাহিরে যেতে চায় উচ্চশিক্ষার জন্য, তাদের অনেক উপকারে আসবে। কারণ বাহিরে যাওয়ার জন্য IELTS বা TOEFL পরীক্ষা দিতে হয়, আর এসব পরীক্ষাগুলো হয়ই Reading, Writing, Speaking, Listening এর উপর। আমি ESOL এর প্রধান কিছু কোর্সের নাম নিচে দিয়ে দিচ্ছি। এগুলো Google এ সার্চ করে একটু ঘাটাঘাটি করলেই জেনে যাবেন ESOL এ কী পড়ানো হয়। আর হ্যা, আরেকটা কথা, ESOL এ থার্ড ল্যাঙ্গুয়েজ হিসাবে ১ম বর্ষে #স্প্যানিশ_এলিমেন্টারি_লেভেল পড়ানো হয়।
Some courses of ESOL:
1. Listening and Speaking
2. Reading and Writing
3. Phonetics and Phonology
4. Essay and Report Writing
5. Morphology and Syntax
6. Semantics
7. Pragmatics and Discourse Analysis
8. English Literature (Prose and Poetry, Novels, Drama)
9. English for Academic and Professional Purposes
10. Second Language Acquisition
11. Language, Media and Communication
12. Principles and Methods of English Language Teaching
13. Syllabus Design and Material Development
14. Research Methodology
15. ELT and Organizational Management
16. Origin and Development of English Language
17. Varieties of English Language
18. Micro Teaching
19. Translation and Interpretation
৩. English আর ESOL এর মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
এই রিভিউ পড়ার পর অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগবে যে English আর ESOL এর মধ্যে পার্থক্য কোথায়? অনেকেই English Literature এর সাথে ESOL কে গুলিয়ে ফেলবে। কিন্তু একটা কথা হচ্ছে দুইটাই English বেজড সাবজেক্ট। তাই অনেক কিছুই মিলতে পারে। তবে দুইটার মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য আছে বিধায়ই এই দুইটা ভিন্ন ভিন্ন দুইটা ডিসিপ্লিন। যাই হোক এই প্রশ্নের উত্তর আমি সরাসরি বলবো না! আপনাকে একটু কষ্ট করে Google এ সার্চ দিয়ে জেনে নিতে হবে। English এবং ESOL এর মধ্যকার পার্থক্য বুঝতে হলে আপনাকে প্রথমে Language এবং Literature এর মধ্যকার পার্থক্য বুঝতে হবে। যদি আপনি Language এবং Literature এর মধ্যে কি পার্থক্য সেটা না জেনে থাকেন, তাহলে একটু কষ্ট করে Google এ গিয়ে Difference between English Language and Literature লিখে সার্চ দিন। তাহলেই ESOL এবং English এর মধ্যকার পার্থক্য সম্পর্কে আইডিয়া পেয়ে যাবেন।
৪. ESOL এর জব সেক্টর কি?
বাংলাদেশ এর প্রেক্ষাপটে বেশিরভাগ চাকরিতেই কোন সাবজেক্ট রিকোয়ারমেন্ট লাগে না! তাই অন্যান্য সাবজেক্টে পড়ে যেসব জব পাওয়া যায়, ESOL এ পড়েও সেসব পাওয়া যাবে। তা হোক সে আমাদের কোন দেশীয় কোম্পানিতে কিংবা কোন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে। অনেকে জিজ্ঞাসা করে যে বিসিএস এ এপ্লাই করা যাবে কিনা ESOL এ অনার্স করে! তাদের উদ্দেশ্যে বলব, ESOL এ পড়ে আপনি বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার ছাড়া বাকি সব গুলাতেই এপ্লাই করতে পারবেন। আর যেসব জবগুলাতে English এর দক্ষতাকে গুরুত্ব দেয়া হয় সেসবে আপনিও গুরুত্ব পাবেন। ESOL এর মুল উদ্দেশ্যই হচ্ছে English Language Expert তৈরী করা! তাই পড়াশোনা চলাকালিন সময়েই English Teacher হওয়া কোন ব্যাপার না। তবে সাবজেক্ট ভিত্তিক আরো কিছু জবের কথা বললে ESOL এর শিক্ষার্থীরা যেসব কাজে প্রাধান্য পাবে সেগুলো হলোঃ Writing, Interpretation, Translation, Ambassador, Proof-reading, English Instructor/ English Teaching, Journalism, News Presenter, University Teacher ( বাংলাদেশে নতুন সাবজেক্ট বিধায় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও এই সাবজেক্ট খুলছে, তাই রেজাল্ট ভালো থাকলে ইউনিভার্সিটির টিচার হওয়া সম্ভব।)।
৫. ESOL কারা নিতে পারবে?
ঢাবির বি এবং ডি ইউনিটে উত্তীর্ণ যে কোন শিক্ষার্থী যাদের বাংলায় ১৩ ও ইংরেজিতে ১৭ কিংবা তার বেশি নাম্বার আছে।
৬. ESOL এর সিট কয়টা?
বি ইউনিট এর পরীক্ষার্থীদের জন্য ESOL এর সিট ২৫ টি আর ডি ইউনিটের পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৫ টি।
৭. ESOL এ পড়ার কিছু অসুবিধা………
৭.১. ESOL নতুন সাবজেক্ট হওয়ায় ESOL এর শিক্ষার্থীরা সবার প্রথমে যেই সমস্যায় পরে তা হলো #আইডেন্টিটি_ক্রাইসিস! ঢাবির অনেকেই এখনো ESOL সম্পর্কে অজ্ঞাত! তাই অনেকেই ESOL এর নাম শুনে প্রথমে ভ্রু কুঁচকাবে!
Collected. ❤️