♦সাবজেেক্ট রিভিউঃ
কেন পড়বেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক?
১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ যা International Relations নামেই সর্বাধিক পরিচিত। প্রায় ৭২ বছর পেরিয়ে এসেও যার চাহিদা কমেনি একবিন্দুও বরং বিশ্বায়নের এই যুগে এসে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক হয়ে উঠেছে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। যদি আপনার আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে জানার আগ্রহ থাকে, জ্বী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ আপনার জন্যই।
বিষয়াবলী :
International Relations বিভাগের নাম হলেও এই বিভাগের পড়াশোনা শুধু আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কেই সীমাবদ্ধ নয় বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ইতিহাস থেকে শুরু করে পড়ানো হয় পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষণ, কূটনীতি, নিরাপত্তা অধ্যয়ন, ভূ-রাজনীতি, পরিবেশ সংক্রান্ত রাজনীতি (Environment Politics), স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ, পলিটিকাল ইকনোমি, জেন্ডার গ্লোবালাইজেশন সহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়াবলী। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল বা দেশ যেমন : ইউরোপ, জাপান, মিডল ইস্ট ইত্যাদি নিয়ে বিশদভাবে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
চাকরির সুযোগ :
যদি একদম উচ্চ পর্যায়ের চাকরির কথা ভাবেন তাহলে হয়ে যেতে পারেন রাষ্ট্রদূত, বিচক্ষণ কোনো কূটনীতিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, শিক্ষক, দেশে বিদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি। এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠানের সাথেও কাজ করতে পারবেন।
এখানে আরেকটা কথা বলায় প্রয়োজন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কে পড়লে বিসিএসে এ শিক্ষা ক্যাডার পাবেন না। এটা নিয়ে অনেকেই আফসোস করেন।
বিভাগ নিয়ে কিছু কথা :
আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ৪র্থ বর্ষে পড়া আমি যদি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি তাহলে বলবো আন্তর্জাতিক সম্পর্কের চাহিদা বেশি এজন্য নয় বরং যদি এখানে পড়ানো বিষয়বলী সম্পর্ক আগ্রহ থাকে তাহলেই এই ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হওয়া উচিত।
-যদি সাব্জেক্টকে ভালোবাসতে পারেন তাহলে ৫ বছর সময়টা আশাকরি খারাপ কাটবেনা <3 পড়াশোনার প্রেশার যথেষ্ট বেশি কিন্তু যাকে ভালো লাগে তার জন্য এটুকু প্যারা নেওয়াই যায়। ;)
- রেজাল্ট প্রসঙ্গে, ব্যাচে আমার পজিশন ভালো হলেও সিজিপিএ আহামরি না কিন্তু দিন শেষে আমি বলবো আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে, একটা বিষয়কে আমি এখন বিভিন্ন আঙ্গিকে দেখতে শিখেছি এবং আমি আমার সাব্জেক্ট নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট।
এখানে মনে রাখতে হবে, রেজাল্ট ভালো করার ক্ষেত্রে পড়া না "সিস্টেমেটিক ভাবে পড়া" খুব প্রয়োজন। এই বিভাগে খুব কম সিজিপিএ যেমন আছে তেমনি অন্য ৩.৯৩, ৩.৯৬ পাওয়া ভাইয়া আপুরাও আছেন। এটা নির্ভর করে আপনি কিভাবে পড়ছেন, কিভাবে লেখা উপস্থাপন করছেন & অন্যান্য গুণাবলি।
- এই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে ইংরেজি ছাড়াও জাপানিজ বা ফ্রেঞ্চ ভাষা শেখারও কোর্স রয়েছে যা পরবর্তীতে চাকরির ক্ষেত্রে সুবিধা দেয় এবং নতুন ভাষা শেখার আগ্রহ তৈরি করে। তবে পরিপূর্ণভাবে শিখতে অবশ্যই নিজের চেষ্টা থাকতে হবে।
- রেস্পেক্টেড ফ্যাকাল্টি মেম্বারস সম্পর্কে বলবো, আমরা খুবই সৌভাগ্যবান আমরা খুব হেল্পফুল এবং যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক শিক্ষিকা পেয়েছি যাদের থেকে আমরা পড়াশোনা, লেখার ধরণ ছাড়াও জীবন সংক্রান্ত অনেক নির্দেশনা পাই। মন খুলে নিজের সমস্যা শেয়ার করার জন্য নিজের বন্ধুদের ছাড়াও কিছু শিক্ষকদের পাবেন যারা দুঃসময়ে আপনার পাশে দাড়াবেন।
ডিপার্টমেন্ট সম্পর্কে নেতিবাচক দিক খুঁজতে গিয়ে মনে হলো, বিভাগকে আপনার তখনি খারাপ লাগবে যখন আপনি পড়াশোনার বিষয়বস্তুতে আগ্রহ পাবেন না। তাই যদি আপনার থাকে আগ্রহ এবং আপনি স্বপ্ন পূরণে প্রয়োজনীয় ইফোর্ট দিতে প্রস্তুত থাকেন তাহলে বলবো,
Welcome to the Department of International Relations.. You are going to have an amazing journey ahead <3
নিশাত তাসনিম
৪র্থ বর্ষ, ৬৯তম ব্যাচ
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
#SubjectReview #BODUC
IR সাবজেক্ট এ B Unit(Science Background) থেকে কত পজিশন পর্যন্ত নেয়?
ReplyDeleteAmar position 390+. Ami ki IR subject pabo? I have a immense fascination for this subject. 🥹
ReplyDelete